Naogaon Youth Club - তারুণ্যের সাথে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি

নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাব ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন। মাদক, পর্নোগ্রাফি ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে ক্যাম্পেইন, রক্তদানে সচেতনতা সৃষ্টি এবং আর্তমানবতার সেবায় কাজ করা একটি নিরলস সংগঠন। বিস্তারিত জানুন

সাম্প্রতিক BCS এর এই ক্রেজের দায় কার?

শেখ আজমাঈন


সাম্প্রতিক BCS এর এই ক্রেজের দায় কার?

তরুণ-তরুণীদের/কোচিং ব্যবসায়ীদের/বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণের নাকি পরিবারেরই।  


একটা জেনারেশন তৈরি করা হয়েছিল, গত ১২ বছরে। সেই জেনারেশন কে বোঝানো হয়েছে যে ম্যাথ, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এসব পড়া জীবনে সময় অপচয়। গবেষণা করা বোকামি।


 তাঁরা দেশের তরুণ সমাজকে এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বসে কিছু চটকাদার তথ্য মুখস্তের নামই মেধাবী হওয়া। 


মাসে মাত্র ৪০ হাজার টাকা উপার্জনের মূলা ঝুলিয়ে তাদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন, পড়ার আনন্দ, গবেষণার ক্যারিয়ার সবই। অথচ এই সকল তথ্য মুখস্থ না করে যদি তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চেষ্টা করত, পিএইচডি বা মাস্টার্স পেয়ে যেত। 


তাদের কে এটা বুঝানো হয়েছে ৪০ হাজার টাকায় তুমি রাজার মত থাকবে। কিন্তু মাসে প্রায় ৩ লক্ষ বা তার বেশি উপার্জন করেও তুমি দেশপ্রেমিক নাহ্।


 এই দেশপ্রেমের দোহাই দিয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে নেক্সট সত্যেন্দ্রনাথ বোস কে বানানো হয়েছে X জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট বা Y জেলার এসিসট্যান্টে এসপি। এই দোহাই দিয়ে নেক্সট এফ আর খান ( বিশ্বব্যাপি নন্দিত আর্কিটেক্ট)  কে বানানো হয়েছে, ট্যাক্স ও ভ্যাট অফিসার। এই একই দোহাই দিয়ে ভবিষ্যতের ড, মো শহিদুল্লাহ কে বানানো হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অফিসার। 


এই পারিবারিক ও পিয়ার প্রেশারে পরে ভবিষ্যতের রসায়নবিদ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা হাতে MP3 নামক আবর্জনা নিয়ে কিছু মানহীন ডিসক্রিট তথ্য ও সংখ্যা মুখস্ত করতে বসেন মিনিমাম ৩ বছরের ও ম্যাক্সিমাম ৮ বছরের জন্য।


 তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মর্ম এখনো বুঝতে পারেন নাই। 


এই জায়গাটা তৈরি করেছেন দেশের শিক্ষক (বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল ও কলেজ সহ), কোচিং ব্যবসায়ী, পরিবার ও সামাজিক প্রেশার। এবং এই পরীক্ষা উৎরে গেলে যতটা না প্রকৃত বাহবা পাওয়া উচিৎ তারচাইতে বেশি মাথায় তুলে রাখা হত পত্রপত্রিকায় সহ সামাজিক মহল থেকে বিয়ের বাজারেও। এই পত্রিকা নিয়ন্ত্রণ আবার করে সেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ফলাও করে। 


তাই সামাজিক বাবলের মধ্যে পরে যুবসমাজের এ পরীক্ষায় বিফল হলে জীবনের মোড় কোন দিকে যাবে, সেই চিন্তা না করেই ঝাঁপিয়ে পরেন। 


আচ্ছা বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগ তো হয় মাত্র ২ হাজার ( কোটা সহ সব মিলিয়ে)। ৩.৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর বাকি ৩.৪৮ লক্ষ শিক্ষার্খীর ভবিষ্যৎ কিন্তু সেই অন্ধকার। এই জায়গাতেও আবার লজিক সেই সামাজিক বাবল তৈরি করেছে। তুমি যদি এই বিসিএসে না পারো তবে অনেক নন ক্যাডার, ব্যাংক, সহ স্বায়ত্তশাসনের কোম্পানি নিবে তোমাকে। কিন্তু এটাও একটা ফাঁদ। কেনোনা বাকি নিয়োগ বছরে সর্বোচ্চ ১০~১৫ হাজার প্রতি বছরে। 


বাকি রা কিন্তু ঠিকই অন্ধকারে। 


বিশ্বব্যাপী যেখানে এক গাদা তথ্য মুখস্থ কে নিরুৎসাহিত করে সব দেশ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশ যেই বয়সে গবেষনা করার কথা সেটা বানিয়ে রেখেছে তথ্য মুখস্থের সার্কাসে। 


তরুণ ও তরুণীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলা “চাকুরি” নামক সার্কাসের সমাপ্তি ঘটেছে কবে?


শেখ আজমাঈন

নর্থ ক্যারোলাইনা, যুক্তরাষ্ট্র

সাবেক শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

2 মন্তব্যসমূহ

  1. জেলায় জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিটাকে কীভাবে দেখবেন?

    উত্তরমুছুন
  2. শিয়ালের কাছে আঙ্গুর ফল তিতা। উল্লেখিত লেখকের নামে মেয়েদের হয়রানির করার অভিযোগ রয়েছে। লেখক নিজেই তো এসপি ডিসির পা চাটতো।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন