ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে আলোচিত প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে জানান, সারাদেশের থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্তের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। তিনি এসম্পর্কিত শায়খ আহমাদুল্লাহর একটি ভিডিও পোস্ট করেন; যেখানে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
সরোয়ার স্যার বলেন, "আমাদের মাদ্রাসা-মসজিদ বেইজড মোবাইল ব্লাড ডোনেশন সিস্টেম এবং কমিউনিটি বেইজড থ্যালাসেমিয়া সচেতনতার রিসার্চ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রজেক্ট সারা দেশে স্কেল আপ হতে যাচ্ছে। আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এটা বাস্তবায়ন করবে। অন্যদিকে বিআরএফ ইন্টেলেকচুয়াল/রিসার্চ পার্ট দেখভাল করবে। ঢাকায় একটি ব্লাড ব্যাংকও বানানোর প্রস্তুতি চলছে। সারাদেশের থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্ত সংগ্রহের দায়িত্ব আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিতে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ। যখন এই আইডিয়া নিয়ে ২০১৮ সালে রিসার্চ শুরু করেছিলাম তখন এই স্বপ্ন ছিল। রিসার্চ আইডিয়া এমনভাবে বাস্তবায়ন হলে খুব ভাল লাগে। আলহামদুলিল্লাহ।"
উল্লেখ্য, সরোয়ার স্যার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক। যিনি তার প্রতিষ্ঠান বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিআরএফ) কে সাথে নিয়ে গত প্রায় ৭ বছর যাবত সীমিত রিসোর্স নিয়ে দেশে কমিউনিটি লেভেলে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে রিসার্চ করে আসছেন। রিসার্চ আর্টিকেল পাবলিশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে। থ্যালাসেমিয়া বাংলাদেশের একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীর মোট বাহকের ৮ শতাংশই বাংলাদেশি। দেশের ২ কোটি মানুষ এই রোগের বাহক। প্রায় ৭০ হাজার সরাসরি আক্রান্ত। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীরা অন্যের দেওয়া রক্তে বেঁচে থাকে। এই রক্ত জোগাড় করতে রোগীর পরিবারকে হিমশিম খেতে হয়।
সরোয়ার স্যার বলেন, "থ্যালাসেমিয়ার সচেতনতাই হচ্ছে ভেক্সিনের মত। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করা যায় না, কিন্তু থ্যালাসেমিয়া ১০০% প্রতিরোধযোগ্য। দেশে প্রায় ২ কোটি এই রোগের বাহক হওয়া সত্ত্বেও এটা জনস্বাস্থ্য ইস্যু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। নিজের প্রয়োজনে একটি টেস্ট (হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস) করে জেনে ফেলুন আপনি বাহক কিনা। জীবনে একবার করলেই যথেষ্ট। ছাত্রাবস্থায় এই টেস্ট না করলে বিয়ের আগ মূহুর্তে সচারাচর কেউ টেস্ট করতে চায় না বিভিন্ন কারণে। এই রোগ হলে নিরাময় হয় না। প্রতিনিয়ত রক্ত নিতে হয়, ঔষধ সেবন করতে হয় যা অনেকের বহন করা সম্ভব নয়। সময়ের কাজ সময়ে না করা হলে আফসোসের সীমা থাকে না।"
নিউজ কভারেজ: প্রেজেন্ট নিউজ ও দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ
জাযাকাল্লাহু খয়রান
উত্তরমুছুনজাযাকাল্লাহ খায়রান
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন