সরোয়ার স্যার বলেন, "আমরা আজকে Lancet Child & Adolescent Health নামক জার্নালে ওরিজিনাল ম্যানুস্ক্রিপ্ট সাবমিট করলাম। এই স্টাডিতে ৩৩টি দেশের ৭০০০+ শিশুদের লাইফস্টাইল (খেলাধূলা, ঘুম এবং স্ক্রিনটাইম) নিয়ে ডাটা রয়েছে। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম এই প্রজেক্টের জন্য।
এজন্য আমাকে ৪ মাস বেতন, দুটি ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার চলার জন্য ফেলোশিপ ছিল, কিন্তু দেশের পরিবার ম্যানেজ করতে নিজের কষ্টার্জিত জমানো কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। সানরাইজ প্রজেক্টের ফান্ডিংও হয়েছিল নিজের টাকায়। এই প্রজেক্ট থেকে ১০টির মত পেপার পাবলিশড হয়েছে। বিশ্বের ৬৪টি দেশের সাথে কলোবোরেশন হয়েছে।
এতকিছু বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে রিসার্চের জন্য তেমন প্রাতিষ্ঠানিক সাপোর্ট নেই। যারা এত কষ্ট করে গবেষণা করেন অফিস পলিটিক্স করে তাদের বিপদে ফেলতে চেষ্টা করা হয়।
সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে ডেংগু নিয়ে ২ মিলিয়ন ডলারের রিসার্চ প্রজেক্ট থেকে বাধ্য হয়ে আমার নাম প্রত্যাহার করতে হয় কেননা আমার জব থাকবে কিনা এই সন্দেহে। আমার কারণে যেন প্রজেক্ট বসে না থাকে তা টিমের প্রধানকে জানিয়েছিলাম। এই প্রজেক্ট বিশ্বের ৩টি দেশের মধ্যে আমি সেকেন্ডম্যান ছিলাম। প্রজেক্টের থিম আমি তৈরী করেছিলাম, অনেক খেটে ছিলাম। কিন্তু সেই প্রজেক্টে আমিই নেই!"
তিনি আরো বলেন "মিছিল করার জন্য হাজার হাজার লোক পাওয়া যায়, ভাংচুর করতেও লোকের অভাব নেই। কিন্তু বুদ্ধিমূলক লং-টার্ম কাজে আগ্রহী লোক হারিকেন দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না।"
- ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন
সহযোগী অধ্যাপক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন