লাইবেরিয়াতে প্রচন্ড রক্তক্ষয়ী সিভিল (সরকারী বনাম বিরোধী দল) ওয়ার শুরু হলো। সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা পরস্পর থেকে ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে। অনেক যুদ্ধহত এবং রেইপ ভিক্টিম শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিতসক নেই। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া Leymah Gbowee স্বেচ্ছাসবক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন ছিল না। রোগীদের নার্সিং করতে গিয়ে তার মনে হতে থাকে- কেন এই যুদ্ধ? কিসের জন্য এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ? ভাইয়ে-ভাইয়ে, বাপ-ভাইয়ে যুদ্ধ হবে কেন? যে করেই হোক এটা বন্ধ করতে হবে । এই যোদ্ধারা তো কারোর ভাই বা বাবা। তাই মেয়েরাই একমাত্র তাদেরকে যুদ্ধ থেকে সরে আসতে কনভিন্সড করতে পারেন।
.
Leymah Gbowee তুমুল যুদ্ধের মধ্যেই জীবন বাজী রেখে যোদ্ধাদের স্ত্রী, মা, বোনদেরকে তার আইডিয়ার কথা বুঝালেন। আস্তে আস্তে তিনি মেয়েদেরকে ঐক্যবদ্ধ করলেন। অবশেষে তিনি এই মুভমেন্ট শুরু করেন যে যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত স্ত্রীরা তাদের হাজব্যন্ডদের সাথে যাতে শারীরিকভাবে মিলিত হতে বিরত থাকেন। অবশেষে যুদ্ধ বন্ধ হলো। অনবদ্য অবদানের জন্য Leymah Gbowee ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পান।
.
পজিটিভ চিন্তা শুরুতে খুব কম সংখ্যক লোক করতে থাকলেও পরবর্তীতে মোমেন্টাম চলে আসে। আস্তে আস্তে আলোর মিছিলে দল-মত নির্বিশেষে সবাই ভিড়তে থাকে।
.
শুরুতে অনেক চ্যালেজিং সিচুয়েশন মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু অত্যন্ত ধৈর্য এবং নিষ্ঠার সাথে লেগে থাকতে পারলে সাকসেস না আসার কোন কারন নেই; কেননা আল্লাহই মানুষের অন্তরে পজিটিভ চিন্তা ঢেলে দেন। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা মনোবল হারিয়ে সেই পজিটিভ চিন্তা থেকে সরে আসি।
শেষ পর্যন্ত লেগে থাকার উপরই সাকসেস নির্ভর করে।
লিখেছেন:
মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন
সহযোগী অধ্যাপক, আইইউবি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন